মোখলেছুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
“শেখ হাসিনার উন্নয়ন, কৈশোরের জাগরণ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে লক্ষ্য রেখে ২৪ নভেম্বর ২০১৯ থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত কিশোর -কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের ৪৮৮৩ ক্লাবের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি ক্লাবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ জন করে নেয়া হয়।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৌরীপুর উপজেলার কিশোর- কিশোরী ক্লাব পরিচালনা করার জন্য ২ জন জেন্ডার প্রমোটার, প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাসহ মোট ১১ জন সঙ্গীত শিক্ষক এবং ১১ জন আবৃত্তি শিক্ষক নিয়োগ দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা করিম।
নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে সকল শিক্ষক মাসে ৮ টি ক্লাস (৪টি আবৃত্তি, ৪টি সংগীত) করানোর কথা থাকলেও এ নিয়ম মানছে না কয়েকজন অসাধু সংগীত ও আবৃত্তি শিক্ষক।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সংগীত ও আবৃত্তি শিক্ষক জানান, করোনার কারণে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ, সেজন্য ক্লাবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। তবে কয়েকজন শিক্ষকের অনাগ্রহের করণে ক্লাবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে।
গৌরীপুর কিশোর কিশোরী ক্লাবকে বেগবান করার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বেগম সুলতানা আকন্দ নিজে কেন্দ্র পরিদর্শনে নামেন।
সে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৮মার্চ/২০২১) জেন্ডার প্রমোটার ঝুমা দেবনাথকে সঙ্গে নিয়ে সিধলা কিশোর কিশোরী ক্লাব পরিদর্শনে যান। এসময় ক্লাবে ৩৩ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো। ক্লাবের শিক্ষার্থীরা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। তিনি সকল শিক্ষার্থীদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।
সিধলা কিশোর কিশোরী ক্লাবের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আর আগ্রহ দেখে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেখানকার সঙ্গীত শিক্ষক প্রিয়াংকা চৌহান ও আবৃত্তি শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় তিনি বলেন, “আপনাদের ক্লাবের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং আগ্রহ খুবই সন্তোষজনক। আপনাদের ক্লাবের মাধ্যমে আমি পরিদর্শনে নেমেছি।”
তিনি আরো বলেন, “আমি শুনেছি অনেক শিক্ষক ক্লাসে ফাঁকি দিচ্ছেন। ক্লাসে না গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত নাস্তার টাকা নিজেরা হস্তগত করছেন। আমি আস্তে আস্তে পুরো এগারোটি ক্লাবই পরিদর্শন করবো।”
সবশেষে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বেগম সুলতানা আকন্দ ক্লাবের শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে গান ও কবিতা আবৃত্তি শুনেন এবং সকল শিক্ষার্থীদের নাস্তা খাইয়ে দেন।